বনস্পতি ঘেরা লোকালয় শীর্ণ কুটির
পাতার চাউনিতে উঁকি দেয় আকাশ,
বেঁচে আছে এখনো ওরা।
নিভৃত ক্ষুধা, স্বল্পান্ন পেতে,
ছুটে চলে দ্বারে দ্বারে,ফিরে চায় না কেউ,
ওরা বঞ্চিত ও অবহেলিত এভাবেই।
ক্ষুধার নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতায় ক্লান্ত ওরা,
অবসন্ন মনে বসে থাকে কিছুক্ষণ,
প্রকৃতি বিষন্নতায় ভরা, তবুও আশ্রয় দেয় তাদের।
অবসন্ন মন, ফিরে আসে নীড়ে
বিকেল গড়িয়ে আসে, সন্ধ্যা নামে,
স্পন্দিত হৃদয়,ব্যাকুল চিত্ত,শ্বাস-প্রশ্বাস
দৃষ্টি একরোখা তার দিকে, সে ক্ষুধাতুর।
ঘুর্ণায়মান ক্ষণ, নিশীথ রজনী, স্তব্ধতা।
নিশাচর সবাই, কোলাহল রুদ্ধ,শান্ত রজনী,
স্তিমিত সব,যেন বধিরতায় আক্রান্ত,ঝিঁঝির ডাক,
ভেসে আসে ধ্বনি, হঠাৎ চিত্তে ক্রন্দনিত সুর,
ক্ষণপ্রভা, বুঝা যায় ধ্বনিত কন্ঠের সুর,সে ক্ষুধাতুর।
রিক্ত চিত্তে আকাশে বাতাসে বয়ে যায় সে সুর,
নেই শুনার যেন কর্ণকুহর,স্পর্শ কাতর !
মাতৃহৃদয় প্রকম্পিত হয়, হৃষ্টচিত্তে কেঁপে ওঠে মন,
বিরক্তিক্ষণ, ছুঁড়ে ফেলে দূরে, উঠে আসে সে, হৎপিন্ডে আঘাত করে মাতৃত্বকে, টেনে তোলে আবার
বক্ষে জড়িয়ে রাখে, অশ্রুসিক্ত হয়ে গড়িয়ে পড়ে,
অনুক্ষণেও সে ক্রন্দন স্তিমিত হয় না।
শিহরণ জাগে মনে, মিশে যায় সে সুর,
আকাশ বাতাস শুনতে পায়, শুনতে পায় না ওরা, ওরা নিশাচর, গভীর ঘুমে মগ্ন, নিষ্ঠুরতায় আক্রান্ত, ক্ষুধাতুরের ক্রন্দন স্তিমিত হয়,ক্ষণ নিশাচর,
ভোরালয়ে কাটে রজনী, আবার স্বপ্ন দেখে তারা,
চলে পথ, ঘুরে দ্বারে, কেটে যায় ক্ষণ,
এটাই তো ক্ষুধাতুরের জীবন।
#রচনাকালঃ ০১.০৪.৯৮ খ্রী.