এখন শীতকালীন সময় চলছে। শীতকালে সাধারণত ঠাণ্ডাজনিত কারণে মানুষের বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়।যেমনঃ কোল্ড এলার্জি, হাঁচি-কাশি নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে মানুষ আক্রান্ত হয়। তাপমাত্রা কম থাকার কারণে মানুষের শরীরের স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এতে মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে। দেশের যে সকল এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে সেখানে এ ঠাণ্ডাজনিত কারণে প্রতি বছরই কিছু সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
দেশের যে সকল অঞ্চলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী রয়েছে বিশেষ করে সে সকল অঞ্চলে এ দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীর মধ্যে গরম কাপড়- চোপড়, কম্বল ইত্যাদি বিতরনের মাধ্যমে এই শীতের সময় তাদের ভালো রাখার চেষ্টা করতে হবে।
একদিক দিয়ে শীতের সময়। তার ওপর চলছে করোনা মহামারী। ঠান্ডা লাগার কারণে যে উপসর্গ দেখা দেয়, করোনার উপসর্গ গুলোর সাথে তার অনেকটাই মিল রয়েছে। শুধু তাই নয়, ঠাণ্ডাজনিত কারণে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায় তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। তাই এবার শীতের সময়টাকে অন্য বছরের শীতের সময়ের মত স্বাভাবিক ভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। শীতের মৌসুমে যে সকল রোগ ও উপসর্গ দেখা দেয় তা থেকে রেহাই পেতে মানুষের স্বভাবতই কিছু প্রস্তুতি থাকে। তবে সেটা সামর্থ্যবানদের। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে শীতের সময়টাকে আরো একটু বেশি সতর্ক ভাবে নিতে হবে। আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে। এই সময়টা ভালো থাকার জন্য মানুষকে অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। আমরা সবাই জানি এ সময় মানুষকে সব ধরনের খাবার গরম গরম খেতে হবে। হাত মুখ ধোয়া, গোসল করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে গরম পানি ব্যবহার করা উত্তম। তাছাড়া মসলা দিয়ে গরম রং চা কফি ইত্যাদি পানিয় খেতে পারলে আরো ভালো। পাসাপাসি ঠান্ডা জনিত কোন উপসর্গ দেখা দিলে কালক্ষেপণ না করে পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করাটাই উত্তম হবে। আমাদের দেশের মৌলিক চাহিদার একটি হলো চিকিৎসা। সে অনুযায়ী সরকারকে স্বাস্থ্য সেবার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এই শীতে মানুষ যেন ভালো থাকতে পারে, সেজন্য জন সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি এ সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা রাখা জরুরি। করোনা মহামারীকে কেন্দ্র করে বিগত সময়ে স্বাস্থ্যসেবার যে দৈন্যদশা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে দেখা গেছে তা লাগবে সরকারের পক্ষ থেকে আরও সচেতন হতে হবে। শীতের সময় এবং করোনা দুটোকে সামাল দিতে এখন স্বাস্থ্য সেবার মান নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জনপদে গরম কাপড় চোপড় এর অভাবে কোন মানুষের যেন মৃত্যু না হয় সেদিকেও সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে। শুধু তাই না এ সময় শীতের প্রকোপ থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে দেশের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন রয়েছে।