যে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শতশত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে প্রশিক্ষণ দেন, সেই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও ভাঙচুরের প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিতে গিয়ে আওয়ামীলীগেরই সহযোগী সংগঠনের হামলায় গুরুতর আহতহয়জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম মোহন।
১৫ ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে হাজীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের ডাকা বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে ছাত্রলীগের একাংশের হামলায় আহত হন মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধকালীন কমান্ডার ও চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম মোহন।
হামলায় আহত হলে নেতাকর্মীরা রাস্তা থেকে তুলে হাজীগঞ্জ বিসমিল্লাহ হসপিটালে নিয়ে যায়। এসময় হসপিটালের ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও অবস্থা বেগতিক ও শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৬ ই ডিসেম্বর বুধবার সকালে জরুরী ঢাকায় রেফার করেন।
এর আগে সিরাজুল ইসলাম মোহন কে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন , হাজিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন, হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম মোহনের পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও ভাংচুরের প্রতিবাদে হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল শুরুর পূর্বেই সমাবেশ মঞ্চ ভাংচুর করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একটি অংশ। এছাড়াও সমাবেশ শুরু হওয়ার পরে সমাবেশস্থলে হামলা চালায় দুস্কৃতিকারীরা।
এ ঘটনায় হাজিগঞ্জ বাজারে আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ ও পুলিশের মাঝে ত্রিমুখী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।